প্রতিনিধি ৭ ডিসেম্বর ২০১৯ , ১:৫৮:৫০ অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের হাওর থেকে এক অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের প্রায় ছয়শত হাস লুট করেছে মাছিমপুর গ্রামের প্রভাবশালী দাঙ্গাবাজ আনোয়ার হোসেনের ছেলে আকবর হোসেন ও আয়াত উল্লাহর ছেলে হানিফ মিয়া। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,গতকাল শুক্রবার বিকেল ৪ টায় হাওরে দীর্ঘদিন ধরে জীবিকা নির্বাহের জন্য রফিনগর গ্রামের বায়জিদ মিয়া হাস পালন করে আসছেন। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এলাকার প্রভাবশালী দাঙ্গাবাজ আকবর হোসেন ও হানিফ মিয়া তুচ্ছ একটি বিষয়ে কথা-কাটাকাটি নিয়ে চড়াও হয়ে বায়জিদ মিয়া ও তার সাথে থাকা এসএসসি পরিক্ষার্থী সালমান হোসেনকে প্রাণে মারার উদ্দেশ্য লাটি সোঠা, রামদা ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক মারপিট ও আঘাত করেন। প্রভাবশালী দাঙ্গাবাজ আকবর হোসেন ও হানিফ মিয়ার আক্রমণে হাওরে অজ্ঞান হয়ে পড়েন বায়জিদ মিয়া ও তার সাথে থাকা সালমান হোসেন। তাদেরকে বেধড়ক আঘাত করে প্রায় ছয়শত হাস লুট করে নিয়ে যায় তারা। এলাকার গণ্যমান্য লোকজন আকবর হোসেন ও হানিফ মিয়াকে হাস নিতে বারণ করলে লুন্ঠন কারীরা তাদেরকে বৃদ্বা আঙ্গুলী দেখিয়ে জোরপূর্বক ভাবে হাস নিয়ে তাদের বাড়ীতে চলে যান। পরে আঘাতপ্রাপ্ত বায়জিদ মিয়া ও সালমান হোসেনকে দিরাই হাসপাতালে ভর্তি করেন তাদের আত্মীয়জন। বায়জিদ মিয়া ও সালমান হোসেনের এক আত্মীয় জানান, শারিরীক অবস্থা তাদের ভালো নেই। শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গে গুরুত্বর আঘাত পেয়েছেন তারা। হাসপাতালে সিটে মৃত্যুর সংঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন সালমান। তাদের জীবিকা নির্বাহ একমাত্র সম্বল হাস হাড়িয়ে তারা নিস্ব হয়ে গেছেন। শারিরীক ও মানসিক ভাবে বেশী আঘাত পেয়েছে বায়জিদ মিয়া ও সালমান হোসেন।
এব্যাপারে রফিনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজওয়ান খান বলেন, আমি শুনেছি এলাকার বহু মানুষজনের মুখ থেকে প্রভাবশালীরা নিরীহ লোকজনের প্রায় তিনলক্ষ টাকার হাস লুট করে নিয়েগেছে। ইহা বড় ন্যাক্কারজনক ঘটনা এতে আমি চেয়ারম্যান হিসেবে ভীষণ লজ্জিত।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। দিরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আছেন,। তদন্ত সাপেক্ষে লুন্ঠন কারীদের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।