প্রতিনিধি ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ , ৯:৩৮:০৩ অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:- সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের ১৭টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমুতি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে দিনব্যাপী আন্তঃ প্রাথমিক বিদ্যালয় বির্তক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকাল থেকে শহীদ তালেব ফাউন্ডেশনের সহায়তায় ইউনিয়নের লৌলারচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
দিরাই উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তাপস কুমার রায়ের সভাপতিত্বে ও লৌলারচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রজ্ঞন কুমার দাসের সঞ্চালনায় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চরনারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রতন কুমার দাস তালুকদার।
এ সময় মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন এলংজুরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গণেন চন্দ্র দাস,পেরুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুকুমার দাস। এছাড়াও বিচারকমন্ডলীর সদস্য হিসেবে যারা দায়িত্ব পালন করেন তারা হলেন প্রধান শিক্ষক নিবাস চন্দ্র দাস,প্রধান শিক্ষক স্মৃতি রানী তালুকদার,সহকারী শিক্ষিকা পান্না রানী তালুকদার,প্রধান শিক্ষক দেবজানি মজুমদার,প্রধান শিক্ষিকা হ্যাপী রায় ও বির্তক প্রতিযোগিতায় প্রধান বক্তা ছিলেন গোপালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী স্মৃতি রানী দাস। বির্তক প্রতিযোগিতা শেষে অতিথিরা শ্যামারচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে বিজয়ী দল হিসেবে ঘোষনা করেন এবং লৌলারচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে রানার্স আপ দল হিসেবে ঘোষনা করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চরনারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রতন কুমার দাস তালুকদার, প্রথমেই মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখো শহীদের আত্মত্যাগ ও দু’লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমাদের মহান স্বাধীনতা অর্জনের ফলেই এই বিজয়ের মাসে তাদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
সফল চেয়ারম্যান রতন কুমার দাস তালুকদার বলেন দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে এবং একটি অসাম্প্রদায়িকতার চেতনার বাংলাদেশ বির্নিমাণে বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের সুশিক্ষার মাধ্যমে তাদের গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষা ছাড়া একটি জাতি তার কাংঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছতে পারে না। তাই সরকার গ্রামগঞ্জের প্রতিটি ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়েছেন। তবে শিক্ষার পাশাপাশি মানবিক মূল্যবোধ, মেধা ও মননে খেলাধূলার মাধ্যমে শরীর চর্চা ও মেধাকে বিকশিত করতে বিতর্ক প্রতিযোগিতার কোন বিকল্প নেই। এ জন্য বর্তমান প্রজন্মের কোমলমুতি শিক্ষার্থীদের মেধা ও মনন বিকাশে শিক্ষক শিক্ষিকাদের পাশপাশি তাদের অভিভাবকদের আরো বেশী করে সচতেন হওয়ার আহবান জানান তিনি। পরে বিজয়ী ও রানার্স আপ দলের সদস্যদের হাতে ক্রেষ্ট তুলে দেন অতিথিরা।