প্রতিনিধি ২ ডিসেম্বর ২০১৯ , ৭:৩৭:৪৫ অনলাইন সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টারঃ ক্ষমতায় যখন যেদল থাকে সে দলেরই তিনি নেতা! চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী ও সুদি ব্যবসার জন্য প্রশাসনের সাথে গভীর সখ্যতা গড়ে তুলেছেন তিনি!
গুণধর এ-ই ব্যক্তি সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ থানাধীন টুকের বাজারের সাহেবেরগাঁও গ্রামের বাসিন্ধা- আব্দুর রশিদের ছেলে আকমল হোসেন।
সদর উপজেলার তেমুখি টুকের বাজার ও আশপাশের অপরাধ জগণের কিং হিসেবে আকমল ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়েন। তার অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ।
ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দলবল নিয়ে প্রতিদিন চাঁদা এবং সুদে টাকা দিয়ে মানুষকে না দিতে পারলে নির্যাতন নিপীড়ন করা হচ্ছে আকমল হোসেনের কাজ। অবশেষে কারাগারে সেই অপরাধী আকমল। গত ২৪ নভেম্বর সিলেট আদালতে দ্রুত বিচার আইনে দায়ের একই গ্রামের হাজী সুন্দর আলীর পুত্র আলমগীর হোসেনের দায়ের করায় মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গেলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করে। মামলা নং- ২৬১।
আকমল হোসেনের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অপরাধের অভিযোগ। ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার হন আকমল হোসেন।
দীর্ঘ কারা ভোগের পর জামিনে মুক্তি পান আকমল হোসেন। নির্বাচনের পর জেল থেকে বেরিয়ে বিএনপিতে সুবিধা করতে না পেরে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। এরপর থেকে বেপোরোয়া হয়ে উঠেন আকমল হোসেন। একবার বিএনপি, আরেকবার আওয়ামী লীগ করে সুবিধা ভোগ করছেন।
যে দল ক্ষমতায় যায় সেই দলে যোগ দেন তিনি। বৃহৎ দুটি রাজনৈতিক দলের সাইনবোর্ড ব্যাবহার করে দুর্নীতি করে কোটি টাকার মালিক হন আকমল হোসেন।
সেই বিভিন্ন ব্যক্তিকে তার দলে ভিড়াতে সুদহারে প্রথম টাকা প্রদান করে ভাল ব্যবহার করে, পরে ঐ ব্যক্তি টাকা দিতে না পারলে তার উপর নির্যাতন নিপীড়িনসহ নানা ধরনে হুমকি দেখিয়ে কয়েক গুণ লাভ হারে টাকা উত্তোলন করে। আর যদি ঐ ব্যক্তি বেশি কথা বলে বা স্থানীয় মুরব্বীদের বিষয়টি শুনান তা হলে আকমল এসএমপি জালালাবাদ থানার কিছু সুবিধা ভোগি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ঐ ব্যক্তিকে বিভিন্ন মামলায় আসামী করার হুমকি প্রদান করে এতে না হলে পুলিশকে দিয়ে বাড়ি থেকে অভিযোগ ছাড়া তাকে ধরে নিয়ে আসে। তদন্ত করলে এধরনে অনেক অভিযোগ বেরিয়ে আসবে আকমল হোসেনের বিরুদ্ধে।
অবৈধ ভাবে আকমল ভাবে আয়ের লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে গড়ে তুলেছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
তার কথামতো না চললে এলাকার মানুষকে মিথ্য মামলা দিয়ে হয়রানি করেন আকমল হোসেন। এলাকার মানুষের উপর শুরু করেন অত্যাচার ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি। আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ায় এলাকার মানুষ ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করছে না। এমনকি এলাকায় কেউ জায়গা কিনে বাসা বাড়ি তৈরিতে তাকে চাঁদা দিতে হচ্ছে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় দিন দিন বেড়ে চলেছে আকমল হোসেনের অত্যাচার নিপীড়ন। আকমলের রয়েছে একটি কিশোর গ্যাং। আর এই কিশোর গ্যাংগের মূলহোতা তার ছেলে মাছুম আহমদ। আকমল কারাগারে থাকলেও তার কিশোর গ্যাংগের নেতৃত্বে থাকা ছেলে মাছুম সকল অপরাধ রাজ্য নিয়ন্ত্রন করে যাচ্ছে। বিগত কয়েকদিন পূর্বে তার প্রতিবেশী এক ব্যক্তির বাড়িতে আকমল বাহিনীর কিশোর গ্যাং লিডার মাছুমের নেতৃত্বে হামলা চালায়। আকমল হোসেন কারাগারে থাকা অবস্থায় তার অপরাধ রাজ্য নিয়ন্ত্রন করছে তার ছেলে সদরের কিশোর গ্যাং লিডার মাছুম।