• অনিয়ম / দুর্নীতি

    জগন্নাথপুরে ড্রেনের ময়লা আবর্জনায় দুর্ভোগ-ভোগান্তি, দীর্ঘ দিন ধরে কাজ বন্ধ!

      প্রতিনিধি ৭ ডিসেম্বর ২০১৯ , ৭:১৭:৫৪ অনলাইন সংস্করণ

    মোঃ হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ জগন্নাথপুরের প্রধান সড়কে নির্মাণাধীন ড্রেনের কাজ দীর্ঘ এক বছর ধরে বন্ধ থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। বিশেষ করে সড়কের দুইপাশে অবস্থিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ীরা অবর্নীয় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। পাশা-পাশি জনদুর্ভোগ বেড়েছে চরমে।

    এলাকাবাসী জানান, ২০১৮ সালের মার্চ মাসের দিকে সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অর্থায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে সুনামগঞ্জ -পাগলা -আউশকান্দী সড়কের দক্ষিণ সুনামগঞ্জের ডাবর পয়েন্ট থেকে জগন্নাথপুর পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার সড়কের পাকাকরণের কাজ শুরু হয়। এই কাজ পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এমএম বিল্ডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। সড়কের কাজের সঙ্গে জগন্নাথপুর পৌরশহরে প্রায় ১ কিলোমিটার ড্রেনের কাজও শুরু হয়। এরই মধ্যে কিছু এলাকার ড্রেনের কাজ শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু জগন্নাথপুর পৌর শহরের ইকড়ছই পল্লী বিদ্যুৎ এর সাবষ্টেশন থেকে জগন্নাথপুর সদর বাজারের পশ্চিম অংশের অটোরিকশা-টেস্পু ষ্ট্যান্ড এলাকা পর্যন্ত প্রায় ৫ শত ফুট লম্বা এলাকাজুড়ে ড্রেনের কাজের জন্য মাটি খুঁড়ে রেখে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। কয়েক মাস থাকার পর গত বছরের শেষে দিকে আবার সামান্য কিছু কাজ করে ফের কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর থেকে গত এক বছর ধরে ড্রেনের কাজ বন্ধ রয়েছে।
    স্থানীয়দের অভিযোগ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে ড্রেনের আটকে আছে।
    ইকড়ছই এলাকার বাসিন্দা শামসুল ইসলাম বলেন, প্রায় ১৮ মাস আগে ড্রেনের কাজ শুরু হয়। দুইদফা কাজ করে গত একবছর ধরে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। নির্মানাধীন ড্রেনের ভেতরে ময়লা আবর্জনা ভরে গেছে। এসব আবর্জনা থেকে পচা দুর্গদ্ধ ছড়াচ্ছে। সেই সঙ্গে ময়লার স্তুুপে মশার উপদ্রব বেড়েছে। ফলে আমরা সীমাহীন দুর্ভোগে আছি।
    পৌরশহরের ইকড়ছই আবাসিক এলাকার সড়কের পাশের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সড়কের দুইপাশে প্রায় ৫ ফুট লম্বা এলাকা জুড়ে ড্রেন নির্মাণের জন্য খালের মতো করে মাটি খুঁড়ে রাখা হয়। ফলে পুরো বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিপাতের কারনে এসব গর্ত পানিতে তলিয়ে দোকান পাঠে ওঠে । এজন্য ব্যবসায়ীদের চরম কষ্টভোগ করতে হয়। কবে যে, এ থেকে আমরা মুক্তি পাব জানা নেই।
    এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এমএম বিল্ডার্স লিমিটেডের সাইট ম্যানেজার জামাল উদ্দিনের সঙ্গে বারবার চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
    সুনামগঞ্জের সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের উপ সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ড্রেনের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি অচিরেই কাজ শুরু হবে।

    আরও খবর

    Sponsered content