প্রতিনিধি ১০ ডিসেম্বর ২০১৯ , ৬:০৬:১৬ অনলাইন সংস্করণ
ভাটি বাংলা ডেস্কঃ গত ৩ ডিসেম্বর ইংল্যান্ডের লন্ডনে অনুষ্ঠিত হয় দ্যা ইনার টেম্পলের কল টু বার । বাংলাদেশের ছেলে এহসানুল ইসলাম অরিত ২০১৮ সালের বার -এট – ল পরীক্ষায় আউটষ্ট্যান্ডিং রেজাল্টের জন্য শীর্ষস্থানে অবস্থান করে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন।সাধারণ মেধাবী অরিতের পুরো শিক্ষাজীবনে ‘দ্বিতীয় অবস্থান ‘ শব্দটি নেই । ও- লেভেল এবং এ – লেভেলে দেশে ডেইলি স্টার এওয়ার্ড পেয়েছেন সর্বোচ্চ নাম্বার পাওয়ার জন্য। আর সেই থেকে তার সফলতার গল্প শুরু। ইংরেজি মাধ্যমে পড়া অরিত শৈশব থেকেই ভীষণ মেধাবী। ২০১৩ সালে লর্ড ইনার টেম্পলম্যান বৃত্তি নিয়ে ওয়েষ্ট অফ ইংল্যান্ড (ব্রিষ্টল) ইউনিভার্সিটিতে আইন পড়তে যান ৷ সেখানে এল এল বি( অর্নাস)’পরীক্ষায় প্রথম শ্রেনীতে উত্তীর্ণ হয়ে নিজের শীর্ষত্ব বজায় রাখেন। আর এ জন্য ‘লয়েড ডেভিডসন পুরস্কার পায় ২০১৫ সালে। নিউক্যাসেল ইউনিভার্সিটি থেকে এলএল এম করেন স্যার মার্ক ওয়ালের বৃৃৃত্তি নিয়ে । পুনরায় এল এল এম আউটষ্ট্যাডিং রেজাল্টের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ‘প্রাইজ ফর আউটষ্ট্যাডিং পারফরমেন্স এল এল এম’ সম্মাননা প্রদান করে ২০১৬ সালে৷ এরপরই তার ব্যারিস্টার হবার স্বপ্নকে বাস্তব করে দ্যা অনারেবল সোসাইটি অফ দ্যা ইনার টেম্পল বৃত্তি । অরিত ছোটবেলা থেকেই স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে পড়াশোনা করার চ্যালেঞ্জ নিয়েছিল বলেই আজ তার কাছে ২০১৪ – ২০১৮ সালকে গল্পের মত মনে হয়। মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে অরিতের এত সব সাফল্যের পুরোটাই মায়ের অবদান জানালেন অরিত।
পড়াশোনার পাশাপাশি সে নিজের যোগ্যতা দিয়ে পেশাগত দক্ষতা অর্জন করেন আফ্রিকান প্রিজন প্রজেক্টে কাজের মাধ্যমে। সেখানে সে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার পর অবসর সময়ে দেশে না এসে কাজ করছেন ল লেকচারার, এক্সেস টু জাস্টিস ম্যানেজার,হেড অফ পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন
হিসাবে ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালে চুক্তি ভিত্তিক ভাবে বিভিন্ন সময়ে ।
মানবাধিকার বিষয়ের প্রতি আগ্রহই তার এ কাজের প্রেরণার উৎস।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার শুরুতেই ২০১৪ সালে ব্রিষ্টলে এসাইলাম সার্পোট এডভোকেট হিসাবে তিনি শুরু করেন তার মানবাধিকার কার্যক্রম।
বর্তমানে তিনি ইংল্যান্ডের অলবিওন ল চেম্বারে শিক্ষানবিশ আইনজীবী ও কনসালটেন্ট হিসাবে রুয়ান্ডা ক্রিমিনাল জাস্টিস পলিসি প্রজেক্টে কাজ করছেন।
এহসানুল ইসলাম অরিত তার সফলতা স্বরূপ অনারেবল মেনশান এডভোকেট এওয়ার্ড, দ্যা এক্সিবিশন এওয়ার্ড অর্জন করেছেন এফবিআই মোটো প্রতিযোগীতা এবং অনারেবল সোসাইটি অফ দ্যা ইনার টেম্পল হতে।
সাংবাদিক পেশায় জড়িত মা হাসিনা আকতার নিগারের কাছ থেকে অরিত জেনেছেন বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। শিখেছেন মা, মাটি ও মানুষকে ভালোবাসতে। মায়ের স্বপ্ন আর নিজের মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে পরিচিত করতে বদ্ধ পরিকর এহসানুল ইসলাম অরিত।
অরিতের জন্যে শুভকামনা।