প্রতিনিধি ২৩ নভেম্বর ২০১৯ , ৯:৫৮:০১ অনলাইন সংস্করণ
ভাটি বাংলা ডেস্ক: তারা একসঙ্গে বরযাত্রী হয়েছিল। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলো একসঙ্গে। দাফনেও তারা সহযাত্রী হলো। তাদের দাফন করা হয়েছে একই কবরস্থানে।
ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে দুর্ঘটনায় নিহত আটজনের লাশ মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কনকসার বটতলা নিজ গ্রামে দাফন করা হয়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লৌহজং উপজেলার কনকসার বটতলা গ্রামের বাহ্মনগাঁও উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে হলদিয়া সাতঘড়িয়া কবরস্থানে দাফন করা হয়। বাকি মাইক্রো ড্রাইভার বিল্লালের লাশ উপজেলার নাগের হাট নিজ গ্রামে জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট নয়জনের দাফন সম্পন্ন হলো।
শুক্রবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে বরযাত্রীবাহী মাইক্রো ও যাত্রীবোঝাই বাসের সংঘর্ষে ১০ জন নিহত হয়। আহত হয়েছে অন্তত ১২ জন।
নিহতরা হচ্ছেন- বরের বাবা আব্দুর রশিদ বেপারী (৬০) বোন লিজা (১৫), চাচা আব্দুল মফিজ (৫৮), ভাবী রুনা (২৫), ভাতিজা তাহসান (৩), ভাগ্নি তাবাসুস অবনি (৫), মামাত বোন রেনু (১০), প্রতিবেশী কেরামত বেপারী (৬০) ও মাইক্রো চালক বিল্লাল (৪০)। তাদের বাড়ি জেলার লৌহজং উপজেলার কনকসার ইউপির কনকসার বটতলা গ্রামে।
বরের চাচাত ভাই আবু সাঈদ বলেন, দুর্ঘটনার পরে শুক্রবার রাতে আমরা জানতে পারি বরের ফুফাত ভাই জাহাঙ্গীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। তার লাশ নিয়ে আসা হচ্ছে। পরে মধ্য রাতে জানতে পারি ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে লাইফ সার্পোটে আছে জাহাঙ্গীর।
এ দিকে শুক্রবার রাতে এ ঘটনায় শ্রীনগর থানায় অজ্ঞাত ড্রাইভারকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে।
মামলার বাদী করা হয়েছে হাসাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ওসি আব্দুল বাসেদকে। এর পাশাপাশি জেলা প্রশাসন ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আসমা শাহীনকে তদন্ত কমিটির প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ডিসি। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-শ্রীনগরের ইউএনও, শ্রীনগর থানার ওসি, হাসাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ওসি, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও বিআরটিএর প্রতিনিধি।
ডিসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতদের দাফন সম্পন্ন করার জন্য প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান করেছেন।