প্রতিনিধি ২৩ নভেম্বর ২০১৯ , ৭:১৮:১৯ অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিনিধি:- সুনামগঞ্জের তহিরপুর উপজেলা এই হেমন্তে সবুজ ঘাসের ডগায় ভোরের শিশির আর কাঁচা-পাকা আমন ধানের শীষে মুক্তোদানা শীতের আগমনের জানান দিচ্ছে। রাতে কুয়াশার আবরণ আর সকালে শিশির বিন্দু দেখা যাচ্ছে টাংগুয়ার হাওরের প্রকৃতির বুকজুড়ে।
উত্তর থেকে আসছে শিরশিরে বাতাস। সকাল-সন্ধ্যা ঘাসের ওপর মুক্তোর মতো দেখা যাচ্ছে শিশিরের কণা।
ভোরের প্রকৃতিতে হাত বাড়লেই ঠাণ্ডাঠাণ্ডা ভাব। একটা-দুইটা করে গাছ থেকে ঝরছে পাতা, শুধু তাই নয় শেষ রাতে গায়ে কাঁথা জড়িয়ে ঘুমাতে হয় অনেকেরই।
যদিও দিনে গরমের তীব্রতা খুব একটা কমেনি।
শীতের মেজাজ আসতে শুরু করেছিল হেমন্তের আগমনেই।
তবে এবারের আবহাওয়ার মেজাজ যেন খানিকটা ভিন্নরকম । বিশেষ করে হাওরাঞ্চলে সকালটা একটু শীত অনুভুত হলেও সারা দিন তার পাত্তা নেই।
তবে উপজেলার সীমান্ত এলাকা শীত পরতে শুরু করেছে।
মেঘালয় কন্যা ও দেশের দ্বিতীয় রামসার সাইড টাংগুয়ার এলাকায় শীতের আমেজ শুরু হয়ে গেছে কয়েকদিন ধরেই। উত্তর জনপদে নেমে এসেছে তাপমাত্রার পারদ।
উপজেলার হাওরাঞ্চলের বাসিন্দা অনেকেই জানান গত কয়েকদিন ধরে হালকা হালকা কুয়াশা পড়ছে রাতেও আর ফ্যান ছেড়ে থাকা যাচ্ছে না রাতে গরম কাপড় জড়িয়ে ঘুমাতে হচ্ছে।
তারা আর জানান গত কয়েকদিন থেকে দিনে গরম আর রাতে শীত অনুভব হচ্ছে। ভোরে হালকা হালকা কুয়াশা পড়ছে।
ইতিমধ্যে প্রকৃতির সৌন্দর্যের নীলা ভূমি টাংগুয়ার হাওরে অতিথি পাখি দু’একটা আনাগোনা করতে দেখা যাচ্ছে।
এবং এই এলাকার কিছু কিছু স্থানে সবজি চাষিরা সবজি চাষ নিয়ে ব্যাস্ত সময় পার করছে।
বিভিন্ন তথ্যসুত্রে জানাযায় এই সপ্তাহ থেকেই সন্ধ্যা থেকে শীতের আমেজ নামতে পারে।
ফলে তাপমাত্রা আরও খানিকটা নামবার সম্ভাবনা রয়েছে এই কয়েক দিনের মধ্যে। ফলে ‘ঝুপ’ করে শীত নামার অপেক্ষা এবার শুরু করতে পারে।