প্রতিনিধি ১৫ নভেম্বর ২০১৯ , ৭:৪৪:৪৫ অনলাইন সংস্করণ
ভাটি বাংলা ডেস্ক:
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনের সমাপনী বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী বলেন- ‘পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কথা হচ্ছে। দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতে পেঁয়াজের কেজি ৮-১০ টাকার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এটি মাত্র একটি রাজ্যে। তারা অন্য কোথাও পেঁয়াজ যেতে দিচ্ছে না বলেই কম দাম। আর ভারতবর্ষে পেঁয়াজ বর্তমানে একশ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাদেরই পেঁয়াজের অভাব। তারা বিদেশ থেকে আমদানি করছে।’
বাংলাদেশের পেঁয়াজের পরিস্থিতি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশে পেঁয়াজ কিন্তু আছে। দেখা যাচ্ছে পেঁয়াজ পচে যাচ্ছে, কিন্তু বাজারে ছাড়া হচ্ছে না। দাম বাড়ানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমরা টিসিবির মাধ্যমে বিভিন্ন অঞ্চলে পেঁয়াজ পাঠিয়েছি, ৪৫-৫০ টাকার মধ্যে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি মিসর ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ নিয়ে আসছি। পৃথিবীর আর কোথায় পেঁয়াজ পাওয়া যায়, সেটার খোঁজ নিয়ে আনার ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টনের এলসি খোলা হয়ে গেছে। সেখানে লোকও চলে গেছে। কিছুদিনের মধ্যে চলে আসবে। আমি নির্দেশ দিয়েছি, এগুলো আসার সঙ্গে সঙ্গেই টিসিবি সেটা নিয়ে নেবে, সব জেলায় জেলায় ট্রাকে করে এই পেঁয়াজ চলে যাবে। সেই আয়োজন আমরা করে ফেলেছি। আমরা এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন আছি; যাতে এই সমস্যাটা না হয়।’
দেশে একটা সিজনে পেঁয়াজ উৎপন্ন হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমাদের গবেষকরা বারোমাসী পেঁয়াজের বীজ উদ্ভাবন করেছেন। এটা ভবিষ্যতে আমরা বাজারজাত করবো। তখন কারও মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না। আমাদের নিজেদের চাহিদামতো উৎপাদন করতে পারবো।’
খাদ্যে ভেজাল বিষয়ে বিরোধী দলের নেতার বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘আসলে যতই বলি, মানুষের চরিত্র বদলায় না। তবে সরকার অভিযান চালাচ্ছে বলেই মানুষ এই ভেজালের বিষয়টি জানতে পারছেন। কেবল খাদ্যে কেন, কসমেটিকসহ অনেক কিছু নকল করে ফেলছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে এবং এটা থাকবে। ভেজালবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে। তবে ভেজাল খেয়ে খেয়ে আমরা বোধ হয় অভ্যস্ত হয়ে গেছি। ভেজাল খাচ্ছি, আবার আমরা বেঁচেও আছি; আমাদের গড় আয়ুও বাড়ছে।’ পণ্য পরীক্ষার জন্য বন্দর এলাকায় বিএসটিআই ল্যাব তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান।