প্রতিনিধি ২৯ নভেম্বর ২০১৯ , ১১:৪২:১৭ অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিনিনিধঃ– সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানার আলোচিত এ,এস,আই জহিরুল ইসলাম প্রত্যাহার করে শাল্লা থানায় বদলী করা হয়েছে।, বৃহস্পতিবার সন্ধায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান (বিপিএম)।
তিনি আরো জানান, সোমবার দুপুরে এক দাফতরিক আদেশে তাকে বদলী করা হয়। একই আদেশে তাকে দ্রত জেলার শাল্লায় থানায় যোগদানের নির্দেশ প্রদান করা হয়।, কিন্তু বদলী ঠেকাতে রহস্যজনক কারনে থানার দায়িত্বশীলরা তার বদলী বা প্রত্যাহারের বিষয়টি চেঁপে রাখেন এএসআই জহিরুল ইসলাম জেলার ছাতক থানা থেকে চলতি বছরের ৯ জুলাই তাহিরপুর থানায় তদবীর করিয়ে বদলী হয়ে আসেন। এরপর থানার আওতাধীন বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে যোগদান করেন।
বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে যোগদান করার পরই পরই বালু পাথর সমৃদ্ধ সীমান্তনদী জাদুকাঁটায় উত্তরসুরীদের ন্যায় মনোযোগী হয়ে আলোচিত হন এএসআই জহিরুল। এরপর জাদুকাঁটা নদীতে পরিবেশ ধ্বংসী অবৈধ সেইভ মেশিনে ও নদীর তীর কেঁটে বালু পাথর লুটেরাদের সাথে গোপন সমঝোতা করেন।,
চলমান শুদ্ধি অভিযানে বালু পাথর খেকো দানবদের জাদুকাঁটা নদীর ঘাগটিয়ার বড়ইবাগ, আদর্শগ্রাম, বড়টেক, বড়টেকের পাঁকা সড়কের সম্মুখে, নদীর তীরে, বিন্ন্কাুলির জাঙ্গালহাটির সামনে নদীর ভাসমান চরে কয়েক শতাধিক সেইভ মেশিনে ও নদীর দু’তীর তীরে কেঁটে বালু পাথর লুটেরাদের সুবিধা দিয়ে নিজেও পুলিশী প্রভাবে দু’হাতে টাকা কামাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।,
অভিযোগ উঠেছে, ঘাগটিয়ার গ্রামের জাদুকাঁটা নদীর তীরে থাকা বালু পাথর সমৃদ্ধ ভুমির কথিত মালিককানা দাবিদার ও একাধিক প্রভাবশালীদের সরকারি খাঁস খতিয়ানভুক্ত নদীরচর, নদীর তীর ও খাঁস ভুমি থেকে দিনে সেইভ মেশিনে এমনকি কোন কোন সময় রাতের আঁধারে নদীর তীর কেঁটে বালু পাথর লুটের সুবিধা দিয়ে ওই এএসআই নৌকা, ট্রলার ও প্রতিফুট হারে বখরা আদায় করে যাচ্ছেন।,
হটাৎ করেই টাকার খনি খ্যাত কর্মস্থল হতে বদলীর আদেশ পেয়ে এএসআই জহির ব্যস্ত হয়ে পড়েন বদলী ঠেকাতে। দিনরাত শ্রমিক সর্দার, বালু পাথর ব্যবসায়ীদের নিকট হতে পুরনো বকেয়া আদায়ের পাশাপাশী রাজনৈতিক দলের একাধিক নেতা, বালু পাথরখেকো সিন্ডিক্যাট চক্র ও জনপ্রতিনিধিদের দারস্থ হন বদলী ঠেকাতে।,
বৃহস্পতিবার সন্ধায় এএসআই জহিরুলের সাথে এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে তাহিরপুর থেকে শাল্লায় বদলীর বিষয়টি স্বীকার করলেও তিনি তার বিরুদ্ধে জাদুকাঁটা নদী কেন্দ্রীক ও বালু পাথর লুটেরাদের সহায়তা করার বিনিময়ে কোন রকম সুবিধা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।