প্রতিনিধি ১৩ নভেম্বর ২০১৯ , ১০:৫৫:৫২ অনলাইন সংস্করণ
ফাইল ছবিঃ মানিক ও মুকুট
ভাটি বাংলা ডেস্কঃ গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনে ‘সুনামগঞ্জ আওয়ামী লীগ: সভাপতি-সম্পাদকের একতরফা সিদ্ধান্তে এমপিদের সঙ্গে বিরোধ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি নূরুল হুদা মুকুটকে ইঙ্গিত করে দেওয়া সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে একহাত নিয়েছেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুল হুদা মুকুট।
তিনি বলেন, মুহিবুর রহমান মানিক সুরঞ্জিত সেনের হাত ধরে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করে এমপি হয়েছেন। এমপি হওয়ার আগে তিনি থানার চিহ্নিত দালাল ছিলেন। ১৯৯৯ সালের ১৫ মার্চ আওয়ামী লীগের নিবেদিতপ্রাণ নেতা কালাম চৌধুরী ও শামীম চৌধুরীকে মারার জন্য তার বাসায় যে বোমা বানিয়েছিলেন সেই বোমা বিস্ফোরিত হয়ে তার কর্মী বাবুল ও বোমা এক্সপার্ট আরিফ হায়দারের মৃত্যু হয়।
গুরুতর আহত হন তার মামতো ভাই আবুল লেইছ। তিনি বলেন, সংসদ সদস্যের প্রভাব খাটিয়ে বিগত দিনগুলোয় মানিক কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেছেন। তিনি কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছেন।
তার ভাই মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে ১ কোটি ৭৮ হাজার ২৭৬ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন মামলা করে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেছে।
নিজের অপরাধ ঢাকতে ও আওয়ামী লীগে বিভেদ সৃষ্টি করে ফায়দা হাসিলের জন্য এমপি মানিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি মুহিবুর রহমান মানিক এমপি বলেছিলেন, ‘৭১ সালে পাকিস্তানিদের সহযোগী, ’৭৫ সালে মিষ্টি বিতরণকারী এবং দলের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়া দুর্নীতিবাজদের আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে কেউ দেখতে চায় না।
বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় এ রিপোর্ট প্রকাশের পর সুনামগঞ্জ জেলা জুড়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্রঃ দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন।