প্রতিনিধি ১৬ নভেম্বর ২০১৯ , ৭:৪৪:২৮ অনলাইন সংস্করণ
ভাটি বাংলা ডেস্কঃ-
প্রতিবাদের ঝড় তুলে আসুন ১৭ নভেম্বর থেকে সাতদিন পেঁয়াজ কেনা বন্ধ করি,অনশনের চেয়েতো কম কষ্ট পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ ছাড়া আমি কখনো খেতে পারিনা।খেতে পারিনা মানে খাবার উপভোগ্য আনন্দময় হয়না।যারা ফেসবুকে পেয়াজ ছাড়া রান্নার পরামর্শ দিচ্ছেন সেটিও আমি নিচ্ছিনা। বিমানে করে পেঁয়াজ এনে দাম কমাবেন, এ যেনো রসিকতা! এতোদিন কোথায় ছিলেন?
এমনকি সময় মতোন পদক্ষেপ গ্রহন না করে, পেঁয়াজের সরবরাহ বাজারে পর্যাপ্ত না রেখে বানিজ্য মন্ত্রী যে নিদারুন ব্যর্থতার ইতিহাস গড়ে, অকল্পনীয় পেয়াঁজমূল্যের রেকর্ড গড়েছেন তার জন্য আমি পদত্যাগ করে চলে যেতে বলছিনা। আমার নিজের লাজলজ্জা শরম আছে।কেনো মুনাফাখোর যারা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সরবরাহ না করে ষ্টক করে চরম লাভ করছে,তাদেরও ধরা হচ্ছেনা,এটা বুঝতে চাইছিনা।
এমন বানিজ্যমন্ত্রী এদেশের ইতিহাসে এসেছেন কিনা জানিনা। আর রাজনীতিবিদদের বাদ দিয়ে ব্যাবসায়ী বানিজ্য মন্ত্রী বা অন্য কোন মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী যখন রাজনৈতিক সরকারের ব্যবসায়ী মন্ত্রী হন তখন জনগন লাভবান হবেন এমন আশাও করিনা।সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে চালের মূল্য চরমে গেলে গনঅসন্তোষের মুখে বলা হলো চাল রফতানিকারক দেশে উৎপাদন কম হওয়ায় এমন হয়েছে।ম উ আহমেদ আলু খেতেই বলেননি,তার নিমন্ত্রনে আলুর সব মেনু রেখেছিলেন,দাওয়াতিরা খুশিতে ডগমগ হয়ে বের হলেও ভাত মাছে বাঙ্গালীর রাগ কমেনি।
যাক, আমাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার ইতিহাস রয়েছে।বৃটিশের পন্য বর্জন করেছি একদিন স্বাধীনতার জন্য।একাত্তরের গনহত্যা ধর্ষনের ঘৃনা প্রতিবাদে অনেকে পাকিস্তানী পন্য বর্জন করি।অনশনের ইতিহাসতো কম নয়!তাহলে সাতদিন পেয়াজ ছাড়লে মরেতো যাবোনা!মরলে মজুদকারিরা মরবে।
আসুন প্রতিবাদ করে সাতদিন পেয়াজ কেনা গোটা দেশ বন্ধ করে দেই,দেখবেন এটা ইতিহাসই হবেনা, পেঁয়াজের দাম কতটা নেমে আসে।
যেভাবে চলছে পেঁয়াজের কেজি পাঁচশোটাকায় গেলেও অবাক হবোনা।দুমাস আগে পেঁয়াজের রফতানি ভারত বন্ধ করছে তাদের বাজার নিয়ন্ত্রনে রাখতে,তবু মন্ত্রীর টনক নড়েনি।জার্মানে ৪৫টাকায় পাঁচকেজি পেয়াজ পাওয়া যায়।উন্নত দেশে খাদ্যদ্রব্য কম,এখানে সব আমলে বেশি!
আসুন প্রতিবাদের ঝড়ে সাতদিন পেঁয়াজ কেনা বন্ধ করি।আসুননা একটিবার করি,আমাদের প্রতিবাদের ঐতিহ্যেও শান দেই।একবার অন্তত জাগি?
লেখা খ্যাতিমান সাংবাদিক, কলামিস্ট ও বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক-পীর হাবিবুর রহমান এর ফেসবুক ওয়াল থেকে নেয়া।