• লিড

    আমার নিস্পাপ  শিশুরে মাইরা ফেলছে, প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাই

      প্রতিনিধি ২৪ নভেম্বর ২০১৯ , ১০:২৫:৪৩ অনলাইন সংস্করণ

    মোঃ নাইম তালুকদার, জগন্নাথপুর থেকে ফিরে।।  সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পৌর শহরের পশ্চিম ভবানীপুর  ৯  নং ওয়ার্ডের দিনমজুর আমির খানের ( ৯)  বছরের এক শিশুকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এলাকার প্রবাভশালী আওয়ামীলীগ নেতা ছমির উদ্দিন ও নিউটন দাসের নেতৃত্বে তাদের সন্ত্রাস বাহিনী  বাড়ীর আঙ্গিনা থেকে ধরে নিয়ে  হত্যা করে, ভবানীপুর স্কুল মাঠে ভোর রাত্রে  ফেলে চলে যান।

    ঘটনায় অভিযুক্ত ছমির ও নিউটনের  বিচারের দাবি জানিয়েছেন শিশুটির দিনমজুর মা,বাবা।   গতকাল শনিবার  (২৩ নভেম্বর ) দুপুরে তাদের বাড়ীতে গণমাধ্যমকর্মীদের  সামনে শিশুটির বাবা ও মা   আহাজারি করে ছেলে  হত্যার বিচার দাবি জানান।

    আমির খান,  কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আজকে গরীব বলে কি আমার ছেলের  হত্যার বিচার পাইমু না? আমার নিস্পাপ  শিশুরে মাইরা ফেলছে ছমির উদ্দিন ও নিউটনের ক্যাডার বাহিনী।

    এ সময় তিনি ‘ ‘শেখ হাসিনার কাছে বিচার চাই’, ‘সরকার বিচার করেন’ বলে কান্নাজড়িত গলায় আহাজারি করতে থাকেন।

    আমির উদ্দিন  অভিযোগ করেন, তার নয়  বছরের শিশু সুহাগকে রোজা মাসের দিনে ইফতার খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ডেকে নিয়েছিল ছমির উদ্দিন ও নিউটন দাস।

    ছমির উদ্দিনের আলীশান বাড়ীর পাশের এক কুড়ে ঘরে থাকতেন নিহত শিশু সুহাগের পিতা- মাতা তাদের সাথে  টিনশেড বস্তিতে মা-বাবা ও তিন ভাই  বোনের সঙ্গে থাকত শিশু সুহাগ । সুহাগের  বাবা  স্থানীয় জগন্নাথপুর বাজারে ছোট খাট একটি দোকানি।  সুহাগ প্রতিদিনের ন্যায় তাদের বাড়ীর সামনে খেলে বেড়াতো শিশুটি। অন্যান্য দিনের মতো গত ২৭-শে রামাজান বিকালে খেলতে বের হয় সে। সন্ধ্যার দিকে রোজার দিনে ইফতারে খাওয়ার লোভ দেখিয়ে সুহাগের বাবার সাথে পূর্ব শত্রুতা ও জায়গা সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার জের ধরে সুহাগকে হত্যা করে ছমির উদ্দিন ও নিউটন দাসের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাস বাহিনি।

    হত্যা করে রাতের আধারে লাশ লুকিয়ে রাখেন ছমির উদ্দিন ও নিউটন দাসের লোকজন,। নিস্পাপ শিশু সুহাগকে হত্যা করে তারা জনসম্মুখে প্রচার দিয়ে মরিয়া উঠেছিলেন, জ্বীনে নাকি সুহাগকে লুকিয়েছে। এই হত্যা কান্ডের দিন সুহাগের আম্মা অন্তস্বত্তার প্রচুর ব্যাথা-বেদনা থাকায় সুহাগের মা,কে নিয়ে হাসপাতালে ছিলেন সুহাগের বাবা। পরদিন ভবানীপুর স্কুল মাঠে সুহাগের  নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তখন এলাকার মানুষ তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে  যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এরপর এলাকার কিছু অসাধু সালিশ ব্যাক্তিত্বদের দিয়ে ছমির উদ্দিন ও নিউটন দাস অতি চালাকি করে সুহাগের বাবা মা কে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা শান্তনা দিয়ে সুহাগের লাশ দাফন কাজ সম্পন্ন করিয়েছেন। বিভিন্ন সুত্রে জানাযায়,  ছমির উদ্দিন ও নিউটন দাসের সাথে জায়গায় সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল সুহাগের পিতার ।  সুহাগের পিতার জায়গায় দখল করতে ছমির উদ্দিন বিভিন্ন ধরনের কলা-কৌশলে ব্যার্থ হয়ে তার সন্ত্রাস বাহিনি দিয়ে সুহাগেকে হত্যা করে তার বাবাকে  ভয়-ভীতি দেখিয়ে এই এলাকা থেকে চিরতরে জন্য বিদায় করে দেওয়ার জন্য এই ন্যাক্কারজনক কাজ করেন। কিন্তু চাকা যে উল্টো পথে ঘুরে বসে যাবে তা তিনি কখনও জানেন, নি। সুহাগ হত্যাকান্ড দেখে এলাকার মানুষজনের মনে আতংক বিরাজ করেছে।  এলাকার সচেতন মানুষের দাবী নিস্পাপ সুহাগ হত্যার বিচার যেন পরিপূর্ণ ভাবে হয়। সুহাগ হত্যাকান্ডের বিয়ষটি

    যেন স্থানীয় প্রশাসন ভালো করে খতিয়ে দেখেন,।  সুহাগ হত্যার কান্ড নিয়ে ছমির উদ্দিন ও নিউটন দাসকে জিজ্ঞেস করলে, তারা বলেন,আমরা হত্যা করি নি। সে পানিতে ডুবে মরেছে। এব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সুহাগ হত্যা কান্ড নিয়ে মামলা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ভালো করে তদন্তের মাধ্যমে দেখবো,।

    আরও খবর

    Sponsered content