প্রতিনিধি ১৮ নভেম্বর ২০১৯ , ৮:৩৪:২৭ অনলাইন সংস্করণ
বিশেষ প্রতিবেদকঃ–
এক সময়ের খরস্রোতা ও প্রমত্তা কুশিয়ারা নদী এখন অনেকটা শান্ত, উজানের ঢলে বালি ও নদী ভাঙ্গনের পলিমাটিতে হেমন্তে আর বড় স্টিমার ও লঞ্চ চলাচল করে না। অনেক জায়গায় আশংকাজনক ভাবে পানি কমে চর জেগে ওঠে! কিন্তু বর্ষায় কখনো কুশিয়ারা আগের সে ভয়ংকর রুপ ধারণ করে তীর ঘেষে বংশপরম্পরায় বসবাস করা মানুষের ভিটেমাটি ও ঘরবাড়ি।
আজকের আলোচ্যে অংশ ওসমানী নগর উপজেলার একাংশ এবং জগ্ননাথপুর উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের অংশ বিশেষ নিয়ে, পাঠিয়েছেন ওবায়দুল হক।
আবারও কুশিয়ারার ভাঙনে শিকার জগন্নাথপুর টু বেগম পুর রোড। জগ্ননাথপুর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে প্রবাহমান কুশিয়ারা নদীর ভাঙনে তীরবর্তী জনপদের বসত বাড়ি সহ রাস্তা ঘাট নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে।
বছরের পর বছর ভাংগনে উপজেলার পাইলগাও, ইউনিয়ন ও রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন, ও আশারকান্দি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের বসত বাড়ি আবাদি জমি ও বনজ সম্পদ কুশিয়ারা নদীর অতল গহব্বরে তলিয়ে গেছে। বর্তমানে জগন্নাথপুর টু বেগমপুর সড়কটি ২য় বারের মত কুশিয়ারা নদী ভাংগনের শিকার হয়েছে। সিলেট ওসমানী নগর উপজেলার বেগমপুর মেইন রোড থেকে জগন্নাথপুর উপজেলার সদর পর্যন্ত সড়কটি পাইলগাও ইউনিয়নের পুর্ব জালাল পুর গ্রামের কাছে ফের কুশিয়ারা নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে। সড়কটির একপাশের অর্ধেক অংশ ইতিমধ্যে ভেঙেগেছে। ফলে এ সড়ক পথে যে কোন সময় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। কয়েকটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের যোগাযোগের একমাত্র রাস্তাটি নদী ভাঙনের শিকার হচ্ছে তবে বিকল্প সড়ক না থাকায় যে কোন সময় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
তথ্যসূত্রঃ মোঃ উবায়দুল হক
Notifications